সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে জন সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হলো বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ। গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে দু’ঘণ্টা নগরীর বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চ ঘাটে এ উন্মুক্ত প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এসময় যুদ্ধ জাহাজ বানৌজা “বিশখালী” দেখতে আসা দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল।
এ সময় জাহাজের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট আফজালুল আলম ফরিদ সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে নৌবাহিনীতে অত্যাধুনিক টেকনলজি যুক্ত হয়েছে। বানৌজা ‘বিশখালী’ সর্বশেষ যুদ্ধ জাহাজ। গত একবছরে এ জাহাজটি বিস্তির্ণ জলসীমায় সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ দেশি-বিদেশি জাহাজের নিরাপত্তা প্রদান করেছে। এটি অবৈধ মৎস্য আহরণে নিয়োজিত ছিল।
দর্শনার্থী তানিশা রহমান বলেন, আজকে এ জাহাজে এসে নৌবাহিনীর বিভিন্ন বিষয় জেনেছি। অনেক অজানা বিষয় তারা আমাদের বলেছে। বিশেষ করে পানিতে ডুবুরিরা কিভাবে কাজ করে। কিভাবে জলসীমায় মহড়া দেয়।
তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সুদীপ্ত বলেন, আমি বাবা-মায়ের সাথে যুদ্ধ জাহাজ দেখতে আসছি। খুব ভালো লাগছে। অনেক কিছু শিখেছি।
আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে জেনেছি। সাধারণ দর্শক হিসেবে এ তথ্য জানা দরকার। তবে বহির্বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আরও উন্নত প্রযুক্তি ও জাহাজ বাড়ানো দরকার।
এর আগে ফজরের নামাজের পর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সকল মসজিদসমূহে দোয়া মোনাজাত করেন। এসময় মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহিদগণের আত্মার মাগফেরাত, দেশের সুখ ও সমৃদ্ধি, সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করা হয়।
এছাড়া সকালে খুলনা নৌঅঞ্চল পূর্ব রূপসাস্থ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও বীর বিক্রম মহিবুল্লাহর মাজারে ‘গার্ড অব অনার’ ও পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। পাশাপাশি খুলনায় বানৌজা তিতুমীর ঘাঁটিতে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সামরিক কর্মকতা, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
খুলনা গেজেট/এনএম

